মঙ্গল অভিযান সিরিজ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
মঙ্গল অভিযান সিরিজ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বুধবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৯

POST NO.14 মঙ্গল অভিযান সিরিজ - ৪

বন্ধুরা,আজ বাংলার দামাল,দুঃসাহসী,বীর 'নেতাজী' সুভাষ চন্দ্র বসু-এর শুভ জন্মদিন।বাঙ্গালীর আবেগ সুভাষ।বাঙ্গালীর গর্ব সুভাষ।বাঙ্গালীর আশা ভরসা সুভাষ।'নেতাজী' নামোচ্চারণেই আমাদের রক্ত গরম হয়ে ওঠে।তাঁর বাস্তব কাহিনি গুলি গল্পের চেয়েও রোমাঞ্চকর-যা আমাদের বুকে সত্য,সাহস আর বিক্রমের দামামা বাজায়।তাই আজকের এই পূণ্যদিনে চলে এলাম আর এক বীরের মঙ্গল অভিযান সিরিজ নিয়ে।যার নাম জন কার্টার।জন কার্টার বা কার্রোথোরিস বারোজের রচিত কাল্পনিক চরিত্র  হলেও,তাদের বিক্রম,সাহস,অন্তরের কোমলতা কোথাও যেন আমাদের সাথে জড়িয়ে যায়।এই পর্বটি "মঙ্গলের দুহিতা"-এই সিরিজের শেষ পর্ব।এর আগের তিনটি পর্ব আশা করি আপনাদের আনন্দ দিয়েছে।আপনারা অনেকেই হয়তো পর্বগুলি পড়ে ফেলেছেন,বা পড়ছেন।তাই এই পষ্টে আমি এই সিরিজ নিয়ে বেশী কিছু বললাম না।তবে,এইটুকু বলে রাখি,এই পর্বটি সম্পূর্ণ ভাবেই জন কার্টারের পুত্র,হেলিয়ামের যুবরাজ কার্থোরিস-এর বীরত্বের এক জীবন্ত দলিল।সেও তার পিতার মতো সুযোগ্য 'পুরুষ সিংহ'।আর যাকে নিয়ে এই পর্বের নামকরণ,সেই থার্ক কন্যা থুভিয়া-ও এক সমর নায়িকা-যার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ এই পর্বে আছে।
বাংলা অনুবাদের প্রচ্ছদ।শিল্পী ঃ মদন সরকার

পরিচয় পর্বটা আবার 'ঝালিয়ে' নেওয়া যাক...

 এডগার রাইস বারোজ 'বারসুম' সিরিজের এই চতুর্থ তথা শেষ পর্বটি লেখা শুরু করেন,১৯১৪ সালের ২০ এপ্রিল।আর শেষ করেন ঐ বছরের জুন মাসের ২০ তারিখে।এত দীর্ঘ সময় লাগার কারণ ছিল,বারোজের ক্যালিফোর্নিয়ায় চলে আসা আর ওঁনার ব্যক্তিগত জীবনের কিছু সমস্যা।কাহিনিটি লেখার সময়ে তিনি ভেবেছিলেন এর নাম হবে 'Carthoris,The Price of Mars'।কিন্তু,কাহিনির বুন  তিনি কিছু পরিবর্তন করেন,তাই নাম রাখেন 'Thuvia,The Maid of Mars'।শোনা যায়,'All-Story Magazine'(প্রথম আত্মপ্রকাশ ১৮৮২ )এর তৎকালীন সম্পাদক রবার্ট ডেভিস,যিনি বারোজের লেখার একনিষ্ঠ পাঠক ছিলেন,১৯১৪ সালের ১২ই জুন বারোজকে একটা চিঠি লেখেন।যেখানে তিনি উল্লেখ করেন যে,তিনি বারোজের এই উপন্যাসের অসম্পূর্ণ পান্ডুলিপি পড়েছেন।কিন্তু নামকরণ তার ভালো লাগেনি।নামকরণ হোক থুভিয়াকে নিয়েই।অনেক সাধ্য সাধনার পরে বারোজ তাঁর 'ফ্যান' এর কথা রাখতে(পড়ুন চাপে পড়ে),বর্তমান নামকরণটা করেন।ইতিমধ্যেই বারোজ টারজান (প্রথম আত্মপ্রকাশ ১৯১২ সালের অক্টোবর মাসে।All-Story Magazine এ) লিখে পৃথিবী জোড়া খ্যাতি পেয়ে গেছেন।'ফ্যন',যে কী না আবার সম্পাদকও ,তাঁর কথা কী ফেলা যায় ?
যাই হোক ,এই কাহিনিটি ধারাবাহিক ভাবে ওই পত্রিকায় প্রকাশিত হয় তিনটি পর্বে,যথাক্র মে ৮,১৫ আর ২২ এপ্রিল।পরে ১৯২০ সাল নাগাদ এই কাহিনিগুলি একত্রিত করে বই আকারে প্রকাশিত হয়।রথীন্দ্র সরকার এই উপন্যাসটির বাংলা অনুবাদ করেন ১৯৯৪ সালে (১৪০০ বঙ্গাব্দ) যা,"সাহিত্যায়ন" থেকে প্রকাশিত হয়।
All-Story Magazine এর সেই মূল প্রচ্ছদ।
পরে এটাই বইটিরও  প্রচ্ছদ হয়েছিল।
                নীচে এই উপন্যাসের কিছু ভ্যারিয়েন্ট কভারের ছবি দিলাম...
               নীচে দিলাম 'ডার্ক হর্স কমিক্স' থেকে প্রকাশিত টারজান আর
                   জন কার্টারের ক্রস-ওভার কমিক সিরিজের প্রচ্ছদ।
"মঙ্গলের দুহিতা" উপন্যাসে 'প্যানথান টুরজান'নামে এক চরিত্রের উল্লেখ করেছেন বারোজ।আমার মনের প্রশ্ন,এই 'টুরজান' নাম থেকেই কী 'টারজান' নাম এর সৃষ্টি?আবার উল্টোটাও হতে পারে।কী জানি,আপনারা বিচার করবেন সেটা।

বারোজের লেখা 'বারসুম সিরিজ'-এর প্রথম তিনটি উপন্যাস-সংকলনের প্রচ্ছদ

এডগার রাইস বারোজ পার্থিব আফ্রিকার ঘন জঙ্গল থেকে শুরু করে,লাল গ্রহ মঙ্গল পর্যন্ত আমাদের যে রোমাঞ্চকর,অবিশ্বাস্য,অদ্ভুত দুনিয়ার সাথে পরিচয় করিয়েছিলেন তা আজও সাহিত্যে জীবিত।আশা রাখি আগামীতেও এর
অমোঘ আকর্ষণ অক্ষুন্ন থাকবে।

   এডগারের বারসুম সিজিরটি ফুরোলো আমার নটে গাছটি মুড়োলো।
      খুব শীঘ্রই অনুবাদ কমিক্স নিয়ে ফিরবো।সবাই ভালো থাকবেন।
                 নীচের লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করে নিন-
https://www.mediafire.com/file/zmcyc44crw8t97d/MONGOLER_DUHITA_%28MONGL_OBHIJAAN-4%29.pdf/file

শনিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৯

POST NO.13 মঙ্গল অভিযান সিরিজ -৩

 বন্ধুরা,আমি আবার হাজির হয়ে গেলাম 'মঙ্গল অভিযান সিরিজ' নিয়ে।আশা করি,এই সিরিজের আগের দুটি পর্ব 'মঙ্গলের রাজকন্যা ' আর 'মঙ্গলের অপদেবতা' আপনাদের ভালো লেগেছে। এবার নিয়ে এলাম এই সিরিজের তৃতীয় পর্ব অর্থাৎ "মঙ্গলের রণনায়ক"। এই পর্বে এডগার রাইস আমাদের পরিচয় করিয়েছেন জন কার্টার-এর পুত্র কার্থোরিস-এর সঙ্গে।এ'ছাড়া আছে মঙ্গলের লাল রুক্ষ প্রান্তর।আছে আট-পা ওয়ালা সিংহ 'বান্থ'।আছে রক্তস্নাত যুদ্ধ।বন্ধুত্ব,হিংসা,প্রতারণার অণুপম বর্ণনা।
বাংলা অনুবাদের প্রচ্ছদ।শিল্পী-মদন সরকার
একটা ব্যাপার না বললে পাপ হবে।সেটা হলো,এই বইটা আমি ১৭ বছর(২০০০-২০১৭) ধরে খুঁজেছি!হ্যাঁ,১৭ বছর!কলেজ ষ্ট্রিট থেকে শুরু করে কলকাতার নানা জায়গার পুরোনো বই-এর দোকান ঘুরেছি।পাইনি এই বইটা।সে এক ইতিহাস।কোথায় কোথায় না ঘুরিনি বইটার জন্যে।এই পুরো সিরিজটাই দুষ্প্রাপ্য।কারণ বইগুলি ১৯৯৫ এর পরে আর প্রিন্ট হয়নি। আমি ১৯৯৮ সালের বই মেলায় ভাগ্যক্রমে আচমকাই পেয়ে যাই সিরিজটা।কিন্তু সেখানে ১,২,৪ থাকলেও ৩ নং বইটা ছিল না।সেই থেকে শুরু আমার অণুসন্ধান।তো, কোনো দিকে না পেয়ে যখন হাল ছেড়ে দিতে যাচ্ছি,এমন সময় ফেসবুকের একজন আমাকে বললেন যে বইটি তাঁর কাছে আছে।তিনি-শ্রী চিরদীপ অধিকারী মহাশয়।পেশায় শিক্ষক।থাকেন জলপাইগুড়িতে।আমার পুরো কাহিনি শুনে,সেখান থেকে তিনি আমার জন্যে কুরিয়ারে বইটা পাঠান খুব সুন্দর করে,জেরক্স করে।ফলে আমার এই সিরিজের পুরো সেটটা সম্পূর্ণ হয়।দাদার এই অবদান আমি কোনো দিন ভুলতে পারবো না।প্রসঙ্গত: বলি, বইটার এই রঙ্গীন প্রচ্ছদ সেই দাদার-ই দেওয়া।উনি পরে এটা আমাকে পাঠিয়েছিলেন। দাদার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
এ'তো গেল আমার কথা।এবার আসি বইটার কথায়।বারোজ,'বারসুম' সিরিজের এই তৃতীয় উপন্যাসটি লেখা শুর করেন ১৯১৩ সালের জুন মাসে।Yellow Men of BarsoomThe Fighting Prince of MarsAcross Savage MarsThe Prince of Helium, আর The War Lord of Mars-এই পাঁচটি কাহিনি নিয়ে রচিত হয়েছিল এই উপন্যাস।পরে ১৯১৯ সালে এই পর্বগুলি একত্রিত করে একটি অখন্ড সংস্করণ প্রকাশিত হয় "The Worlord Of Mars" নামে।
মূল প্রচ্ছদ

১৯৯০ সালে (১৪০০ বঙ্গাব্দ,অগ্রহায়ণ) শ্রী রথীন্দ্র সরকার সেই বইটির বাংলা অনুবাদ করেন।প্রকাশিত হয়"সাহিত্যায়ন " থেকে।নীচে শ্রী রথীন্দ্র সকারের কিছু অনুবাদকৃত ও মৌলিক বই এর একটা তালিকা দিলাম।আমি এঁনার সম্পর্কে কিছুই জানি না।"সাহিত্যায়ন" পাবলিসার্স ও আর নেই।তাই এই লেখক সম্পর্কে তথ্য আমি যোগাড় করতে পারিনি।তবে উনি গত হয়েছেন সেটা শুনেছি।আপনারা এই তালিকা দেখে যদি কোনো ভাবে ওঁনার সম্পর্কে তথ্য দিতে পারেন,তাহলে ভালো হয়।  

                                    এ'ছাড়া তিনি সম্পাদনা করেছিলেন
                                     "ও'হেনরির শ্রেষ্ঠ গল্প সংকলন"বইটি।
                   "পৃথিবীর পাঠশালায়" বইটি বর্তমানে amazon.com এ উপলব্ধ।

আসুন,এবার জন কার্টারের হাত ধরে ঘুরে আসা যাক 'বারসুম'এর লাল প্রদেশ থেকে...
নীচের Link থেকে ডাউনলোড করুন-----
http://www.mediafire.com/file/439lqlm1pmfm4t1/MONGOLER+RONONAYOK%28MONGOL+OBHIJAAN-3%29.pdfন-

বৃহস্পতিবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১৯

POST NO.12 মঙ্গল অভিযান সিরিজ -২

বন্ধুরা,আবার হাজির হলাম মঙ্গল অভিযান সিরিজ নিয়ে।এবারে থাকছে এই সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব " মঙ্গলের অপদেবতা" বইটি।আশা করি এর আগের পর্ব অর্থাৎ "মঙ্গলের রাজকন্যা" আপনাদের ভালো লেগেছে।এই দ্বিতীয় পর্বে বর্ণিত হয়েছে জন কার্টারের দ্বিতীয়বার মঙ্গল অভিযানের অ্যাকশ প্যাকড কাহিনি।পাতায় পাতায় জনের বীরত্বের গাথা পড়ে আপনারা আবার রোমাঞ্চিত হবেন কথা দিলাম।
বাংলা অনুবাদের প্রচ্ছদ।শিল্পী-আশীষ সেনগুপ্ত


এডগার রাইস বারোজ 'বারসুম' সিরিজের এই দ্বিতীয় ইংরাজী উপন্যাসটি(নাম দিয়েছিলেন John Carter of Mars) লেখা শুরু করেন ১৯১৩ সালের জানুয়ারী মাসে।এই কাহিনিটি পাঁচটি পর্বে প্রকাশিত হয়েছিল,ঐ বছরের জানুয়ারী থেকে মে মাস পর্যন্ত।পরে অর্থাৎ ১৯১৮ সালে 'গ্রিগস অ্যান্ড বুকস' (Tarzan of the Apes এঁরাই প্রকাশ করতেন)-এর সম্পাদক আলেকজান্ডার সি.ম্যাকক্লার্গ নিজ চেষ্টার এই পাঁচটি পর্ব একত্রিত করে "The God of Mars" নামে বইটি প্রকাশ করেন।বইটির প্রচ্ছদ শিল্পী ছিলেন ফ্র্যাঙ্ক ই.শুনোভার।সেই মূল বইটিই বাংলায় অনুবাদ করেন শ্রী রথীন্দ্র সরকার ১৯৯৩ সালের ডিসেম্বর মাসে,আর প্রকাশিত হয় "সাহিত্যায়ন" থেকে।   
মূল প্রচ্ছদ 
তাহলে আসুন লাল গ্রহ মঙ্গল বা "বারসুম" এ আমাদের অভিযান শুরু করা যাক,জন কার্টারের হাত ধরে......

সোমবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৯

POST NO.11 মঙ্গল অভিযান সিরিজ-১

                                         
নমস্কার বন্ধুরা।অনেক দিন পরে ফিরলাম ব্লগে।আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।আজকে একটু অন্য ধরণের পোষ্ট দেব।
এডগার রাইস বারোজের লেখা "মঙ্গল অভিযান সিরিজ" টি খুব দুষ্প্রাপ্য একটি সিরিজ।আন্তর্জালে ইংরাজীতে পাওয়া গেলেও বাংলায় এই সিরিজটি পাওয়া বিরল।আমি জুতোর শুকতলা ক্ষয় করে সিরিজটি জোগাড় করেছি।সিরিজে আছে মোট চারটি বই।এই চারটি বই নিয়েই রচিত হয়েছে পৃথিবীবাসী জন কার্টারের দুর্ধর্ঙ্গ মঙ্গল অভিযানের বীর গাথা।আছে রক্তাক্ত যুদ্ধ।আছে পরমা সুন্দরী দেজা থোরিসের প্রতি জনের প্রেম।পৃথিবীর আরিজোনার গুহা থেকে লাল মঙ্গল গ্রহ বা "বারসুম"-এ জনের এই জার্নি আপনাদের আনন্দ দেবেই।                                                           

বারোজ "Princess Of Mars" গ্রন্থটি লেখেন ১৯১২ সালে।রথীন্দ্র সরকার সেই বইটি বাংলায় অনুবাদ করেন ১৯৯০ সালে (১৩৯৭ বঙ্গাব্দ),যা প্রকাশ করে "সাহিত্যায়ন " প্রকাশনা।
আজ থাকছে এই সিরিজের প্রথম বই "মঙ্গলের রাজকন্যা"।   

                                                               

original cover

       

নীচের লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করুনঃ
http://www.mediafire.com/file/tq8c3k0q67bh0lp/MONGOLER+RAJKONYA+%28MONGOL+OBHIJAAN+SERIES+-1%29Partho.pdf