রবিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

POST NO. 18 কালো বিছে-০২ "নিষ্পাপ ডাইনী"

বন্ধুরা,আমি আজকে আবার হাজির হলাম কালো বিছে(Skorpio) সিরিজের আর একটি কমিক্স নিয়ে।এর আগের কমিক্সটির বাংলা অনুবাদ আপনাদের কাছে ধণাত্মক ভাবে গৃহীত হয়েছে।আর তাই আমি খুব আনন্দিত ও আপ্লুত।আপনাদের এই ভালোবাসা আমাকে আগামীতে পথ চলার রসদ যোগাবে।এই সিরিজের বাকী সব কমিক্স পাবেন শুধু মাত্র আমার এই ব্লগে।
চিত্র শিল্পী আর্নেষ্টো গার্সিয়া সেইজাস
নিজের ষ্টুডিয়োয় সৃষ্টিতে মগ্ন শিল্পী 
আজ আমি এই কমিক্স সিরিজের চিত্র শিল্পী আর্গানেষ্টো গার্সিয়া সেইজাস সম্পর্কে দুচার কথা আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো। আর্নেষ্টো সেইজাসের জন্ম ১৯৪১ সালের পয়লা জুন।তিনি জন্মেছিলেন বুয়েনস এয়ারস এর রামোস মেজিয়া শহরে। মাত্র ১৭ বছর বয়সে কমিক আঁকায় সেইজাসের হাতেখড়ি হয়।তাঁর অঙ্কিত প্রথম কমিক চরিত্রটি চিল,"বিলি ও জ শ"।এই কমিক্সটি প্রথম প্রকাশিত হয় আর্জেন্টিনার কমিক পত্রিকা "টোটেম"-এ।এরপর ধীরে ধীরে তিনি পাকাপাকি ভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন পেশাদার কমিক্স শিল্পী ও এক দক্ষ ইলাষ্ট্রেটার হিসেবে।১৯৫৮ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত তিনি যুক্ত ছিলেন "বুকানেরোস" নামে একটি পত্রিকার  সাথে। কার্টুনিষ্ট হিসেবে।১৯৭০ সালের শেষের দিকে গার্সিয়া চুক্তি বদ্ধ হন বিখ্যাত "কলম্বিয়া ষ্টুডিও"র সাথে।রবিন ঊড-এর কাহিনি অবলম্বনে তিনি আঁকতে শুরু করেন রোম্যান্টিক কমিক চরিত্র 'হেলেনা'।১৯৭৭ সাল থেকে তিনি রে কলিন্স এর সাথে জুটি বেঁধে আঁকতে শুর করেন 'স্করপিও ' কমিক।১৯৮৭ সাল থেকে নিজ খরচে "এল ক্ল্যারিন" সংবাদ পত্রের জন্যে আঁকতে থাকেন কার্লোস ট্রিলো রচিত এরোটিক কমিক্স স্ট্রিপ 'এল নেগরো ব্ল্যাঙ্কো'(যা পরে নাম পরিবর্তন করে হয়ে যায় 'ফ্লপি'), ভিভিয়ানা সেন্ট্রোল রচিত 'লা নেশিয়ন ',মাইক ব্র্যান্ডো রচিত 'লা প্রেনসা' ইত্যাদি কমিক্সগুলি।২০০৭ সালে  তিনি প্রথম আঁকেন 'টেক্স ঊইলার' কে নিয়ে কমিক্স 'পলিজিয়া অ্যাপাচে'।পাঠক মহলে সমাদৃত এই কমিক্স চরিত্রটির কান্ডকারখানা এখনও নিয়মিত ভাবে বেরুচ্ছে।
গার্সিয়াকে নিয়ে একটি ডকুমেন্টারী ফিল্ম তৈরী হয়েছিল



আজ এই পর্যন্তই থাক।বাকী কথা আগামী পোষ্টে হবে।
নীচের link থেকে Doenload করুন
http://www.mediafire.com/file/y9la23qaiflpl8w/KALO+BICHE+-02+%28PARTHO%29.pdf
গত পোষ্টে আমি ভুল করে রঞ্জন দা'র পদবী 'গঙ্গোপাধ্যায়' এর বদলে লিখে ফেলেছিলাম ছিলাম 'বন্দ্যোপাধ্যায়'।এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্যে আমি দুঃখীত! 

POST NO.17 ড্যাগন


“The oldest and strongest emotion of mankind is fear, and the oldest and strongest kind of fear is fear of the unknown”.

হ্যাঁ!ঠিক তাই।‘ভয়’, মানুষের এক আদিম ও শক্তিশালী আবেগ।আর এই আবেগকে নিয়েই আমাদের জীবন ধারণ।ভয় পেতে আমরা সবাই ভালোবাসি!ভালোবাসি রোমাঞ্চিত হতে!আর সেই ভয়ের উৎস যদি থাকে অন্য কোনো অজনা অচেনা দুনিয়ায়,তাহলে তো কথাই নেই!

ওপরের উক্তিটি পড়ে আপনারা এতক্ষণে বুঝেই গেছেন,আজ আমি কার কথা বলছি।হ্যাঁ,বন্ধুরা ঠিক ধরেছেন।আমি আজকে বলছি হরর ফিকশান জ্যঁরের যুগ পুরুষ হাওয়ার্ড ফিলিপস লাভক্রাফট-এর কথা।এই বিখ্যাত আমেরিকান লেখকের জন্ম ১৮৯০ সালের ২০শে অগষ্ট।আমেরিকার রোড আইল্যান্ড অঞ্চলে।তিনি মূলত লিখেছেন ভয়াল ভৌতিক ছোট গল্প-আর আমাদের সামনে খুলে দিয়েছেন অজানা অচেনা রহস্যময় এক জগতের দ্বার।১৫ ই মার্চ ১৯৩৭ সালে এই সাহিত্যিক শেষ নিঃশাস ত্যাগ করেন।

ড্যাগন” নামক ছোট গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯১৭ সালের জুলাই মাসে বিখ্যাত “ভ্যাগরান্ট” পত্রিকায়।এটিই তাঁর প্রথম কাহিনি যেটি তিনি মুলত লিখেছিলেন প্রাপ্তবয়ষ্কদের জন্যে।পরে এটি কমিক্স আকারে প্রকাশিত হয় মার্ভেল কমিক্স এর “ওরারিড টেলস “ পত্রিকায়।কিন্তু আজকে যে কমিক্সটি আমি দিতে চলেছি,সেটি সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গীকে প্রকাশিত হয় “ম্যাক্স কমিক” এর “হান্টস অব হরর” এই কমিক সিরিজের বইতে।লাভক্রাফট-এর এই ছোট গল্পটিকে আধুনিক ভাবে নিজের চিত্র শৈলীর মাধ্যমে পরিপূর্ণ করেন বিখ্যাত চিত্রশিল্পী রিচার্ড করবিন। সেই কমিক্সটিকেই সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায় আমাদের সামনে উপস্থাপণ করেছেন আমার ভাতৃপ্রতীম বন্ধু লুৎফুল কায়সার।লুৎফুল থাকেন ওপার বাংলায়।।উনি একজন নাম করা লেখক ও অনুবাদক।কমিক্সের প্রতি আমাদের দুজনের টান আমাদের মধ্যে আলাপের প্রধান সেতু বন্ধন হিসেবে কাজ করেছে।ফেসবুক-এর মাধ্যমে আমাদের আলাপ।ওঁনার অনূদিত সাহিত্য পড়ার ইচ্ছে আমার অনেক দিনের।এই কমিক্সটির মাধ্যমে সেই ইচ্ছে কিছুটা হলেও পূর্ণ হোলো।ওঁনার এই শৈলীকে আমার ব্লগে স্থান দিতে পেরে আমি খুব আনন্দিত আর আপ্লুত।ওঁনার প্রস্তাবটি না পেলে আমি এটা করতে পারতাম না।
তাহলে আসুন, নীচের
link থেকে Download   করে পড়ে ফেলুন লুৎফুলের অনূদিত এই কমিক্সটি...    http://www.mediafire.com/file/c1m87khcji88k8x/DAGON+%28LUTFUL+KAISER%29.pdf