রবিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

POST NO.17 ড্যাগন


“The oldest and strongest emotion of mankind is fear, and the oldest and strongest kind of fear is fear of the unknown”.

হ্যাঁ!ঠিক তাই।‘ভয়’, মানুষের এক আদিম ও শক্তিশালী আবেগ।আর এই আবেগকে নিয়েই আমাদের জীবন ধারণ।ভয় পেতে আমরা সবাই ভালোবাসি!ভালোবাসি রোমাঞ্চিত হতে!আর সেই ভয়ের উৎস যদি থাকে অন্য কোনো অজনা অচেনা দুনিয়ায়,তাহলে তো কথাই নেই!

ওপরের উক্তিটি পড়ে আপনারা এতক্ষণে বুঝেই গেছেন,আজ আমি কার কথা বলছি।হ্যাঁ,বন্ধুরা ঠিক ধরেছেন।আমি আজকে বলছি হরর ফিকশান জ্যঁরের যুগ পুরুষ হাওয়ার্ড ফিলিপস লাভক্রাফট-এর কথা।এই বিখ্যাত আমেরিকান লেখকের জন্ম ১৮৯০ সালের ২০শে অগষ্ট।আমেরিকার রোড আইল্যান্ড অঞ্চলে।তিনি মূলত লিখেছেন ভয়াল ভৌতিক ছোট গল্প-আর আমাদের সামনে খুলে দিয়েছেন অজানা অচেনা রহস্যময় এক জগতের দ্বার।১৫ ই মার্চ ১৯৩৭ সালে এই সাহিত্যিক শেষ নিঃশাস ত্যাগ করেন।

ড্যাগন” নামক ছোট গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯১৭ সালের জুলাই মাসে বিখ্যাত “ভ্যাগরান্ট” পত্রিকায়।এটিই তাঁর প্রথম কাহিনি যেটি তিনি মুলত লিখেছিলেন প্রাপ্তবয়ষ্কদের জন্যে।পরে এটি কমিক্স আকারে প্রকাশিত হয় মার্ভেল কমিক্স এর “ওরারিড টেলস “ পত্রিকায়।কিন্তু আজকে যে কমিক্সটি আমি দিতে চলেছি,সেটি সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গীকে প্রকাশিত হয় “ম্যাক্স কমিক” এর “হান্টস অব হরর” এই কমিক সিরিজের বইতে।লাভক্রাফট-এর এই ছোট গল্পটিকে আধুনিক ভাবে নিজের চিত্র শৈলীর মাধ্যমে পরিপূর্ণ করেন বিখ্যাত চিত্রশিল্পী রিচার্ড করবিন। সেই কমিক্সটিকেই সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায় আমাদের সামনে উপস্থাপণ করেছেন আমার ভাতৃপ্রতীম বন্ধু লুৎফুল কায়সার।লুৎফুল থাকেন ওপার বাংলায়।।উনি একজন নাম করা লেখক ও অনুবাদক।কমিক্সের প্রতি আমাদের দুজনের টান আমাদের মধ্যে আলাপের প্রধান সেতু বন্ধন হিসেবে কাজ করেছে।ফেসবুক-এর মাধ্যমে আমাদের আলাপ।ওঁনার অনূদিত সাহিত্য পড়ার ইচ্ছে আমার অনেক দিনের।এই কমিক্সটির মাধ্যমে সেই ইচ্ছে কিছুটা হলেও পূর্ণ হোলো।ওঁনার এই শৈলীকে আমার ব্লগে স্থান দিতে পেরে আমি খুব আনন্দিত আর আপ্লুত।ওঁনার প্রস্তাবটি না পেলে আমি এটা করতে পারতাম না।
তাহলে আসুন, নীচের
link থেকে Download   করে পড়ে ফেলুন লুৎফুলের অনূদিত এই কমিক্সটি...    http://www.mediafire.com/file/c1m87khcji88k8x/DAGON+%28LUTFUL+KAISER%29.pdf

1 টি মন্তব্য: